কেরানীগঞ্জে দাফনের ১৬ দিন পর কবর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।
জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় পূর্ব মোগারচরের ইউসূফ আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম (৪৫) মারা যায়। ওইদিনই তাকে পূর্ব মোগাররচর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এঘটনায় ১৪ জানুয়ারী নিহতের ছেলে মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মারধরে মৃত্যুতে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। এতে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী সালাউদ্দিন অভিযোগ করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১১ ডিসেম্বর প্রতিবেশী জিয়ারউদ্দিন, সিরাজুল, হাসান আলী, এরশাদ ও সাইফুলসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৬ জন রাস্তায় তার মা সালেহা বেগমকে প্রথমে মারধর করেন। পরে তারা বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরও করে। সে সময় দ্বিতীয় দফায় তারা সালেহা বেগমকে মারধর করে। এতে সালেহা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জানুয়ারী সালেহা বেগমের মৃত্যু হয়।
তবে মামলার আসামীদের স্বজনরা জানানা,, নিহত সালেহা বেগমের পরিবারের সঙ্গে আসামীদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। জমি দখলসহ অবৈধ সুবিধা নিতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে।
রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানায়, এ রকম একটি ঘটনা আমাকে জানানো হয়নি। কোন পরামর্শ ছাড়াই নিহতের লাশটা দাফন করা হয়েছিল। এটা ঠিক হয়নি বলে তিনি আরো বলেন, যখন মারা গেছে তখনই তো ময়না তদন্তের দরকার ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই সুলতান মাহমুদ জানান, ইতিমধ্যে আসামী হাসান আলী, এরশাদ ও সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।