কোষ্ঠকাঠিন্যের সাধারণ কারণ হলো ডায়েটে ফাইবার বা পানির অপর্যাপ্ততা। কখনো কখনো বৃহদান্ত্রের প্রতিবন্ধকতা থেকেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। সাধারণ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে সমস্যাটি দূর করা যায়। তাই প্রথমেই ল্যাক্সাটিভের জন্য ওষুধের দোকানে ছুটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে যেসব খাবার খাওয়া উচিত তা উল্লেখ করা হলো, কিন্তু এতে কাজ না হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
কফি ও অন্যান্য গরম পানীয়: কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে কফি পান করে দেখতে পারেন। এতে ভালো কাজ হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর অন্যতম কারণ হলো গরম পানীয় বর্জ্যের চলাচলে গতি আনে। সেই হিসেবে অন্যান্য গরম পানীয়ও কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে কফির ভূমিকা অন্যান্য গরম পানীয়ের চেয়ে একটু বেশি, কারণ এটি অন্ত্রের মাংসপেশিকে সংকুচিত হতে উদ্দীপ্ত করে। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না, কারণ কফি পানে মূত্রত্যাগের হার বেড়ে যায়।
পানি: শুধু আঁশে সমৃদ্ধ খাবার খেলে হবে না, পর্যাপ্ত পানিও গ্রহণ করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে আঁশের জাদুকরি কাজ সম্পন্ন হতে পানিরও প্রয়োজন রয়েছে। যথেষ্ট পানি পান না করলে আমাদের শরীর বর্জ্য থেকে পানি শুষে নেয়, যার ফলে মল শক্ত হয়ে যায় ও বের হয়ে আসতে পারে না। সাধারণ পানি পানে আগ্রহ না থাকলে এর সঙ্গে ফলের রস মিশিয়ে সুস্বাদু করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ পানিতে স্ট্রবেরি, নাশপাতি, তরমুজ ও লেবুর রস মেশাতে পারেন।
ফ্ল্যাক্সসিড ও ইসবগুলের ভূষি: ফ্ল্যাক্সসিড ও ইসবগুলের ভুষি কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সহায়তা করে। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এক মগ (২৫০ মিলিলিটার) গরম দুধে এক চা-চামচ ফ্ল্যাক্সসিডের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। সকালে সিরিয়ালে বা ফলের স্মুদিতে ২ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসিডের গুঁড়া ছিটাতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে এক মগ পানিতে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়েও পান করতে পারেন। নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খেলে সাধারণ কারণে সৃষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হবে।