পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নারীকে উত্যক্তের ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারীসহ ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তোরাপ আলী (৭৫) ও ফজলুল হককে (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপর ১৩ ব্যক্তিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা মোমেনা খাতুন(৪০) ও বাসিয়া খাতুন(৩৯) নামের দুই মহিলাকেও পিটিয়ে জখম করেছে। ঘটনাটি বুধবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ডাসবেলাই গ্রামে ঘটেছে।
গ্রামবাসী জানান,গফুর আলীর পরিবারের এক নারীকে ওই গ্রামের মৃত আছান আলীর ছেলে মফেদুল ইসলাম (৩৮)কয়েকদিন আগে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে গফুর আলী বাদি হয়ে গ্রামের প্রধান আবুজল প্রামানিক ও বেল্লাল হাজীর নিকট পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন। কিন্তু প্রধানগণ অভিযুক্ত মফেদুল ইসলামের নিকট থেকে মোটা টাকা নিয়ে উল্টো গফুর আলীর বাড়িতে বুধবার সকালে তারা যান। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এর আগে পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী বখাটে মফেদুল ইসলাম ধারালো ছুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে গফর আলীর বাড়ির পিছনে অপেক্ষা করছিল। বেল্লাল হাজী ও আবুজল হুংকার দিয়ে তাদের ডাকা মাত্র ২০/২৫জন ঝাঁপিয়ে পড়ে গফুর গংদের উপর। হামলাকারীরা তোরাপ আলী ও ফজলুল হককে কুপিয়ে জখম করে এবং একই পরিবারের গফুর আলীসহ অপর ১৩জনকে পিটিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মাথায় জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন গফুর আলী (৫৫)বলেন, খানমরিচ ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বেল্লাল হাজীর নেতৃত্বে একদল লোক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়ির উপর এসে অতর্কিত হামলা করে পরিবারের ১৫জনকে জখম করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: নাজমুল হক সংঘর্ষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সহকারী পুলিশ সুপার সজীব সাহরিনের সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর তারা নিয়েছেন। তবে বিকালে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি।