দেশের মানুষের নাভিশ্বাস তুলে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ। দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা পিয়াজের দাম এখন সব সীমা ছাড়িয়ে কেজি ২২০ টাকা হয়েছে খোলাবাজারে। আবার বর্ধিত মূল্য দিয়েও অনেক স্থানে পিয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বরে পিয়াজের দাম ঝাঁজ ছাড়ানো শুরু করলেও গত দেড় মাসে কিছুই করতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। লোক দেখানো কয়েকটি বৈঠক-অভিযান আয়োজন ও প্রতিশ্রুতির নামে মিথ্যা আশ্বাসই কেবল দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। সংকটের শুরুতে আমদানিকারকদের বৈঠক ডেকে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি তার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন মাত্র একজন। সেই দুর্ভোগ যখন চরমে তখনই লঘু প্রয়োজনে দীর্ঘ ১০ দিনের বিদেশ সফর করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত সবাই জানতে চায়, পিয়াজের দাম আর কত বাড়বে ?
বাংলাদেশে পিয়াজের কেজি ২২০ টাকা হলেও বিশ্বের কোথাও এত দামে বিক্রি হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সর্বশেষ পিয়াজের দর দেখা গেছে- ভারতে বাংলাদেশি টাকায় সর্বোচ্চ ৩১, মিয়ানমারে ৫৬, নেপালে ৩৮, পাকিস্তানে ৩০, রাশিয়ায় ৩৯, যুক্তরাজ্যে ৩৫, কাজাখস্তানে ২৭ ও মিসরে বিক্রি হচ্ছে ৩১ টাকায়।
পিয়াজের কেজি আজ মাত্র ২২০ টাকা। কসবার শোক না কাটতেই আবার রেল দুর্ঘটনা। পিয়াজের দাম কত বেশি হলে, রেল দুর্ঘটনা কতো বেশিবার হলে মন্ত্রীদের পদত্যাগ চাওয়া যায় ?
ক্ষমতাবানদের কেউ কেউ মাথা নিচু করে কথা বলুন, আমি আপনাদের মনিব। আমি জনগণ। মুক্তিযুদ্ধে রক্তে অর্জিত সংবিধান জনগণকে মালিক ও আপনাদেরকে সেবক বানিয়েছে। পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে, রেল যোগাযোগটা নিরাপদ রাখতে আপনারা ব্যর্থ।
আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। জনদূর্ভোগ দূর করুন।